Wednesday, August 12, 2015

   ......স্বাগতম সাতরঙ্গ জামদানী অনলাইন হাইজ এ ......



আমার কিছু কথা,

বাংলাদেশের মৃত পথযাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক শিল্প। “জানদানী” জ্যাম অর্থ  “ফুল” 

আর দানি অর্থ দানি, অর্থা্ৎ ফুলদানি। জামদানী মঘল সম্রাটদের রাজকীয় পৃষ্ঠ পোষকতায় ছিল। 

কিন্তু পরে বৃট্রিশ উপনিবেশবাদ এর অধীনে বাংলার জামদানী ও মুসলিন শিল্পের দ্রুত প্রসারের 

কারণে শিল্প নির্মিত টেক্সটাইল পক্ষপাতী করে বৃট্রিশবাদিরা আমাদানী নীতি অস্বীকার করেছে। 

জামদানী প্রথাগত শিল্প মানবতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং একটি অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে 

2001 “ইউনিস্কো” কৃর্তৃক ঘোষিত হয়েছে। বৃট্রিশরা আমাদের এই শিল্পকে সহ্য করতে পারেনি। 

গোটা ভারতের রাজকীয় পোশাক ছিল আমাদের এই জামদানী এবং মসলিন। মসলিন শাড়ী আজ 

আর নেই। তবে আমি ঢাকা “জাদুঘরে” দেখেছি একটা আংটির মধ্যে এত বিশাল শাড়ী কিভাবে 

থাকে, কত নিখুত শিল্প ছিল এটি। এখন আছে শুধু জামদানী। এই শিল্প আজ হুমকীর মুখে। এটি 

রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

পোশাকের জগতে জামদানীর কোন তুলনা হয় না। তাঁতীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং পরিশ্রমে 

মাধ্যমে এক নিখুত কারুকার্য দ্বারা নির্মিত আমাদের এই জামদানী শিল্প। এটি সখিনতার এক মৃর্ত 

প্রতীক। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা যদি এর চাহিদা ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়াতে পারি 

তাঁতিরাও কাজে উৎসাহিত হবে। আর আমাদের এই শিল্প বিশ্বের দরবারে মডেল হয়ে থাকবে। 

কারন বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর পোশাকের মধ্যে জামদানী অন্যতম। দুঃখ জনক হলেও সত্যি আমরা 

বাঙ্গালিরা জানাতে পারি না। দেশের বাহিরে এর চাহিদা বাড়াতে পারলে জামদানী শিল্প প্রচুর 

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হবে। আমি নিজে দেখেছি একটি শাড়ি তৈরী করতে ৩ মাস সময় 

লেগেছে। যার মূল্য ধরা হল ১,২০,০০০/- টাকা। এবার বিশ্বাস করুন কত উন্নত মানের আমাদের 

এই শিল্প।

আমার বিজনেস ডেভেলপের জন্য শুধু বলছি বিষয়টা তা নয়। আমি জামদানী শিল্পের চাহিদা 

বাড়ানোর জন্য প্রচারনায় কাজ করতেছি। দেশের বাহিরে এর চাহিদা বাড়ানোই আমার মূল লক্ষ। 

আমার বিশ্বাস আমার সাথে আপনারাও থাকবেন। আমার ফেসবুক পেজে একটি লাইক এবং 

শেয়ার করে যাবেন। তার পাশাপাশি আমার জামদানী ব্লগ সাইটটি সবািইকে জানিয়ে দিবেন। 

সবার শুভ কামনা করে আজ এই পর্যন্ত। সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।



যোগাযোগ ঃ 01754493353, 01918347041 . Email : 7rongo.jamdani@gmail.com